কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভোকেশনাল নবম দশম (৯ম-১০ম) শ্রেণীর বই
ইলেকট্রিক্যাল
ট্রেড
শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল
বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে
বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন
সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও
বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান
এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা
সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও
বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক
প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও
বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত
দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি
(ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে
যুগোপযোগী করা হয়েছে।
ভোকেশনাল নবম দশম (৯ম-১০ম) শ্রেণীর
কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ হলে (সে পরিবাহী সোজা অথবা জড়িয়ে
কুণ্ডলী করাই হোক) এটির চতুর্দিকে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এ চৌম্বক
ক্ষেত্র বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য সৃষ্টি হয়েছে না। এ বিদ্যুৎ শক্তি এখানে চুম্বক
শক্তিতে রূপান্তরিত হলো। অতএব, এ চুম্বক শক্তিকে এখানে চৌম্বকীয় ফল বলা হয়।
বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর, ডায়নামো, বৈদ্যুতিক ঘণ্টা, বৈদ্যুতিক বাজ্জার
প্রভৃতি এ ফলাফলের উদাহরণ।
ভোকেশনাল নবম দশম (৯ম-১০ম) শ্রেণীর
তাপীয় ইফেক্ট: কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ হলেই ঐ পরিবাহী কিছু
না কিছু গরম হয়। তবে অনেক সময় তাপমাত্রা এত কম হয় যে, তা বোঝা মুশকিল।
পরিবাহীতে বিদ্যুৎ শক্তির অপচয় হবার ফলে, সেটা গরম হয়, এটা বিদ্যুৎ প্রবাহের
তাপীয় ফল। বৈদ্যুতিক বাতি, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রী, বৈদ্যুতিক হীটার প্রভৃতি এর
উদাহরণ। এখানে বিদ্যুতিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
ভোকেশনাল নবম দশম (৯ম-১০ম) শ্রেণীর
কোনো কোনো পরিবাহী বস্তুর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করার ফলে সেটা
বিয়োজিত হয়ে যায় এবং নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয়। এসিড, ক্ষার ও লবণ জাতীয়
যৌগিক পদার্থের পানীয় দ্রবণেও এর ফলাফল হয়। যথা: সামান্য এসিডযুক্ত পানিতে
বিদ্যুৎ চালনা করলে তার মৌলিক উপাদান হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। আবার
হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের যথাযথ মিশ্রণে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ পরিচালনা করলে পানি যৌগ
উৎপন্ন হয়।
ভোকেশনাল নবম দশম (৯ম-১০ম) শ্রেণীর
বর্তমান বিশ্বে বিদ্যুৎ ছাড়া কোনো কিছু চিন্তা করা যায় না। আমাদের জীবনের
প্রতিটি কাজে বিদ্যুতের ব্যবহার ব্যাপক। কল-কারখানা, ট্রেন, প্রোটন, বাতি,
পাখা, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার ইত্যাদি বিদ্যুতের
সাহায্যে চলে। তাহলে বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি, যা চোখে দেখা যায় না বলে
অদৃশ্য শক্তি হিসেবে ধরা হয়। বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা এক শক্তি হতে
অন্য শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। যার সাহায্যে আলো, তাপ, গতি ইত্যাদি কাজ
সম্পাদন করা যায়।
=০=
আরও পড়ুন:
0 Comments