বিসিএস (BCS) ও সকল সরকারি চাকরির জন্য এসএসসি (ক্লাস নাইন টেন-নবম দশম)
শ্রেণির বিজ্ঞান বোর্ড বইয়ের পুরাতন সংস্করণ:
বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরসহ সকল স্তরের সিলেবাস (Syllabus) পরিবর্তন হলেও ২০১০
সাল বা তারও আগের সিলেবাসের বইগুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। বর্তমান
ছাত্রছাত্রীরাও সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের নানা বিষয় ও গণিতের মৌলিক বিষয় সমূহ
প্রাঞ্জল ভাষায় বুঝার জন্য ২০১০ বা তার আগের সালের বই গুলো পড়তে পারে।
বাংলাদেশে বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য এই বই গুলো সেরা উৎস ।
বিশেষ করে বাংলা ব্যকরণ বুঝার জন্য ২০১০ সালের নবম দশম শ্রেণির বাংলা ব্যকরণ
বইয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় NCTB ওয়েসবাইটে বই গুলোর আর কোন সংগ্রহ
নেই। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কিছু কিছু বই পাওয়া যায় তবে সব গুলো নয়। তাই সবদিক
বিবেচনা করে এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পুরাতন বইগুলোর ডাউনলোড লিংক শেয়ার করা
হলোঃ আশা করি সবার উপকারে লাগবে।
১. মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (Bengali Grammar) এসএসসি (ক্লাস নাইন
টেন-নবম দশম) পুরাতন সিলেবাসঃ
মাধ্যমিক স্তরে বাংলা একটি আবশ্যিক বিষয়। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা রাষ্ট্রভাষা
এবং শিক্ষার মাধ্যম। মাধ্যমিক স্তরে মাতৃভাষা বাংলায় দক্ষতা অর্জন করতে হলে এ
ভাষায় ব্যবহারিক ও সৃজনশীল-উভয় দিকেই শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা থাকা আবশ্যক। এ
উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বাংলা ভাষার ধারণশক্তি ও প্রকাশক্ষমতা বৃদ্ধি করে এর
যুগোপযোগী, ভাবোপযোগী ও বিষয়োপযোগী শুদ্ধ প্রয়োগ করতে হবে; সেজন্য বাংলা ভাষার
ব্যাকরণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যৌক্তিক মূল্যায়নের
মাধ্যমে সংশোধিত ও পরিমার্জিত 'বাংলা ভাষার ব্যাকরণ' নবীন ও আগ্রহী
শিক্ষার্থীদের এ প্রয়োজন অনেকাংশে মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
৩. মাধ্যমিক পদার্থ বিজ্ঞান (Physics) এসএসসি (ক্লাস নাইন টেন-নবম দশম)
পুরাতন সিলেবাসঃ
পদার্থবিজ্ঞান অতি দ্রুত অগ্রসরমান একটি বিষয়। প্রকৌশল, স্থাপত্য, কৃষি,
চিকিৎসাশাস্ত্র, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার, মাইক্রোবায়োলজি ইত্যাদি
বিষয়ের ওপর পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাব অপরিসীম। এই বিষয়সমূহে যারা উচ্চতর জ্ঞান
অন্বেষণে আগ্রহী তাদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান পাঠ আবশ্যক। পদার্থবিজ্ঞানের পাঠ
যুগোপযোগী করার অভিপ্রায়ে এবং আধুনিক শিক্ষার শিখনচাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার মান
আন্তর্জাতিক তুল্যমানে উন্নত
করার লক্ষ্যে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি পরিমার্জন করা হয়।
আশা করা যায় এই পাঠ্যসূচি
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করবে এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা
রাখবে।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের কাঠামোতে জীববিজ্ঞানের প্রধান দুটি শাখা উদ্ভিদ ও
প্রাণিবিজ্ঞানকে আলাদা না করে সমন্বিত করা হয়েছে। জীববিজ্ঞান বিষয়ে
শিক্ষাদান কেবল তত্ত্বীয় পাঠ আয়ত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পরীক্ষাগারে
ব্যবহারিক কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো পাঠ্যপুস্তকে
পৃথকভাবে সন্নিবেশ করা হয়েছে। শ্রেণীশিক্ষকের সহায়তায় নির্ধারিত ব্যবহারিক
পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা জীববিজ্ঞান তথা বিজ্ঞানশিক্ষার
প্রতি অধিক আগ্রহী হবে। আশা করি নবম ও দশম শ্রেণীর 'জীববিজ্ঞান'
পাঠ্যপুস্তকে বর্তমান শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচির উদ্দেশ্যগুলো যথাযথভাবে
প্রতিফলিত হয়েছে।
গণিতশিক্ষাকে যুগোপযোগী করার অভিপ্রায়ে এবং আধুনিক শিখনচাহিদা অনুযায়ী
গণিতশিক্ষার মান আন্তর্জাতিক
তুল্যমানে উন্নীত করে আত্মকর্মসংস্থানের সহায়ক করার লক্ষ্যে নিম্ন
মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের
গণিত শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন ও নবায়ন করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে
মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকের
বিষয়বস্তুতে এর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। প্রযোজ্য ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে
গণিতের ব্যবহার সহজ করার জন্য
পাটিগণিতের পাঠ অষ্টম শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে বীজগণিতের ওপর বিশেষ
গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এ
প্রেক্ষিতে বীজগণিতের আনুষ্ঠানিক পাঠ ষষ্ঠ শ্রেণীতে আরম্ভ করা হয়েছে এবং
পাটিগণিতের সমস্যা বীজগণিতের
সাহায্যে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। এ পাঠ্যপুস্তকের যেখানে প্রযোজ্য
সেখানে পাটিগণিতীয় জীবনভিত্তিক সমস্যা উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে
শিক্ষার্থীরা গাণিতিক অনেক সমস্যাই বীজগাণিতিক পদ্ধতিতে সহজে সমাধান করার
দক্ষতা অর্জন করতে পারবে বলে আশা করা যায়। গণিত কোনো মুখস্থ বিদ্যা নয়, এটি
চর্চার বিষয়। কাজেই
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাঠ্যপুস্তকে যে সকল অনুশীলনী ছিল তা যথাযথভাবে
রয়েছে এবং প্রতিটি অধ্যায়শেষে
জ্যামিতি গাণিতিক যুক্তি এবং প্রয়োগের দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। তাই জ্যামিতিচর্চার ঐতিহাসিক
পটভূমির উল্লেখসহ ইউক্লিড বর্ণিত প্রাথমিক 'সংজ্ঞা', 'স্বীকার্য' ও
'স্বতঃসিদ্ধির' বর্ণনা আধুনিক ধ্যানধারণার নিরিখে
উপস্থাপন করা হয়েছে। অধিকন্তু প্রযোজ্য ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে গণিতের
ব্যবহারের প্রসার ঘটানোর জন্য ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি জ্যামিতি
পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
৭. মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা (Computer Education) এসএসসি (ক্লাস নাইন
টেন-নবম দশম) পুরাতন সিলেবাসঃ
কম্পিউটার শিক্ষা অতি দ্রুত অগ্রসরমান একটি বিষয়। জীবনের সকল ক্ষেত্রে
এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই বিষয়টিকে
আমরা এমনভাবে উপস্থাপন করেছি যাতে শিক্ষার্থীরা এই অত্যাধুনিক
প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি
বাস্তব জীবনে তাদের অর্জিত বিদ্যা কাজে লাগাতে পারে। এমন যদি হয়, যে
কেউ মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা
বিষয়টি অধ্যায়ন করার পর কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চায়, তবে তাও যেন সম্ব
হয় তার প্রতি লক্ষ রেখে বিষয়টির
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে।
কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ত পরিবর্তনশীল। পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের মুহূর্তেও
কম্পিউটারজগতে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে যা
এ পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত করা সম্ভব হয়নি। এটি সম্ভবও নয়। কারণ
কম্পিউটারের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে
তাল মিলিয়ে চলা অত্যন্ত কঠিন। এই কথাটি স্মরণ রেখে বিষয়টির শেখানোর সময়
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সর্বশেষ তথ্যাদি প্রমাণের ব্যাপারে শিক্ষকরা যত্নবান
হবেন বলে আমি আশা রাখি।
৮. মাধ্যমিক সাধারণ বিজ্ঞান (General Science) এসএসসি (ক্লাস নাইন
টেন-নবম দশম) পুরাতন সিলেবাসঃ
শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়নকে আরো ফলপ্রসূ করার জন্য দেশের সুধীজন ও
শিক্ষাবিদগণের পরামর্শের প্রেক্ষিতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
প্রতিটি অধ্যায়শেষে বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছে।
প্রত্যাশা করা যায়, এতে শিক্ষার্থীর মুখস্থনির্ভরতা বহুলাংশে হ্রাস
পাবে এবং শিক্ষার্থী তার অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন বাস্তব জীবনে প্রয়োগ
করতে বা যেকোনো বিষয়কে বিচার-বিশ্লেষণ অথবা মূল্যায়ন করতে পারবে।
সভ্যতার অগ্রগতি বিজ্ঞানের অগ্রগতির ওপর নির্ভরশীল এবং আমাদের
দৈনন্দিন জীবনপ্রবাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
তাই মানবিক ও ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থীরা যাতে বিজ্ঞানের জীবন ঘনিষ্ঠ
ও জনপ্রিয় বিষয়সমূহ সহজে জানতে ও বুঝতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে
মাধ্যমিক সাধারণ বিজ্ঞান বইটিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়সমূহ উপস্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের
শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত,
তাদের কাছে NCTB (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) প্রকাশিত বইগুলোর
বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ
করে, ২০১০ সালের নবম-দশম শ্রেণির পুরাতন
বই গুলো আজও শিক্ষার্থী
ও জ্ঞানের অনুরাগীদের মনে এক বিশেষ
স্থান দখল করে আছে।
কেন
২০১০ সালের বই এখনো
প্রাসঙ্গিক?
২০১০
সালের বইগুলো ছিল এক
ধরনের রূপান্তরের সময়ের স্মারক।
সেসময় পাঠ্যপুস্তকে:
1. গভীর বিষয়বস্তু
2. সাহিত্যিক ও
ব্যাখ্যামূলক লেখা
3. উন্নত মানের
অঙ্কের উদাহরণ
4. বিজ্ঞান বিষয়ের
ব্যাখ্যা ছিল সহজবোধ্য এবং
গবেষণামূলক
বিশেষ
করে বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি
গ্রামার, উচ্চতর গণিত, রসায়ন,
পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস ইত্যাদি
বিষয়ের বইগুলো শিক্ষার্থীদের মেধার
পরিপক্কতা গঠনে অনন্য ভূমিকা
রেখেছিল।
গণিত শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার অভিপ্রায়ে এবং আধুনিক শিখনচাহিদা অনুযায়ী গণিত শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক
তুল্যমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে মাধ্যমিক স্তরের উচ্চতর বীজগণিত বইটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ পরিমার্জন করা হয়েছে। প্রযোজ্য ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে গণিতের ব্যবহার সহজ করার জন্য উচ্চতর বীজগণিতের ভিত্তি অন্বয় ও বিপরীত অন্বয়, ফাংশন এবং পরিসংখ্যানের প্রাথমিক ধারণাসমূহ সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গণিতের নিজস্ব বৈশিষ্ট অক্ষুণ্ণ রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে গণিতমনস্কতা সৃষ্টি করা অপরিহার্য। এদিকে বিশেষ লক্ষ রেখে নতুন ধ্যানধারণা সহজভাবে এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে অর্ধবাস্তব পর্যায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ প্রচেষ্টায় বা শিক্ষকের ন্যূনতম সহায়তায় বিষয়বস্তু আয়ত্ত করতে সক্ষম হবে।
প্রযোজ্য ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে গণিতের ব্যবহার সহজ করার জন্য জ্যামিতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এ পুস্তকের বিষয়বস্তুতে যে সব বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে তা পাঠ করে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক জ্যামিতির ধারণা ও প্রয়োগ সম্প্রসারণ করার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও উচ্চতর গণিতে ভেক্টর, ঘন জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতির প্রাথমিক ধারণাসমূহ সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গণিতের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে গণিতমনস্কতা সৃষ্টি করা অপরিহার্য। এদিকে বিশেষ লক্ষ্য রেখে নতুন ধ্যান-ধারণা সহজভাবে এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে অর্ধবাস্তব পর্যায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ প্রচেষ্টায় বা শিক্ষকের ন্যূনতম সহায়তায় বিষয়বস্তু আয়ত্ত করতে সক্ষম হবে।
পরিমার্জন করা হয়েছে। প্রযোজ্য ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে গণিতের ব্যবহার সহজ করার জন্য উচ্চতর ব্যবহারিক গণিতের ভিত্তি অন্বয় ও বিপরীত অন্বয়, ফাংশন এবং পরিসংখ্যানের প্রাথমিক ধারণাসমূহ সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গণিতের নিজস্ব বৈশিষ্ট অক্ষুণ্ণ রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে গণিতমনস্কতা সৃষ্টি করা অপরিহার্য। এদিকে বিশেষ লক্ষ রেখে নতুন ধ্যানধারণা সহজভাবে এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে অর্ধবাস্তব পর্যায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ প্রচেষ্টায় বা শিক্ষকের ন্যূনতম সহায়তায় বিষয়বস্তু আয়ত্ত করতে সক্ষম হবে।
মাধ্যমিক স্তরে বাংলা একটি আবশ্যিক বিষয়। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, রাষ্ট্রভাষা এবং শিক্ষার মাধ্যম। এ ছাড়া
৫২-র ভাষা-আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ ভাষাকে কেন্দ্র করে ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা-দিবস হিসেবে
ঘোষিত হয়েছে। ফলে বাংলা ভাষার মর্যাদা এখন বিশ্বপরিসরে ব্যাপ্ত। সুতরাং এখন এ ভাষার ব্যবহারিক দিকে
ব্যুৎপত্তি অর্জন যেমন প্রয়োজন তেমনি সৃষ্টিশীলতায় দক্ষতা ও কুশলতা অর্জনও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে শিক্ষার্থীর
ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ যেমন প্রয়োজন, তেমনি তাকে হতে হবে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় উদ্বুদ্ধ। আমরা আশা করি, নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যপুস্তক 'মাধ্যমিক বাংলা সংকলন'- এ বর্তমান
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচির উদ্দেশ্যগুলো যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা সম্পর্কে যথাযথ ধারণা লাভ করে, তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে কিছু বিষয়বস্তু সংযোজন করা হয়েছে।
১৩. মাধ্যমিক বাংলা সংকলন কবিতা (Bengali Poetry) এসএসসি (ক্লাস নাইন টেন-নবম
দশম) পুরাতন সিলেবাসঃ
শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়নকে আরো ফলপ্রসূ করার জন্য দেশের সুধীজন ও শিক্ষাবিদগণের পরামর্শের প্রেক্ষিতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি অধ্যায়শেষে বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছে। প্রত্যাশা করা যায়, এতে শিক্ষার্থীর মুখস্থনির্ভরতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং শিক্ষার্থী তার অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে বা যে কোনো বিষয়কে বিচার-বিশ্লেষণ অথবা মূল্যায়ন করতে পারবে।
১৫. মাধ্যমিক বাংলা রচনা সম্ভার, এসএসসি (ক্লাস নাইন টেন-নবম দশম) পুরাতন সিলেবাসঃ
২০০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত গ্রন্থ তিনটিতে শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্যকে যথাযথভাবে প্রতিফলনের চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে পাঠ্যপুস্তক তিনটিতে রচনাগুলো এমনভাবে নির্বাচন করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা এ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কার-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য ও নীতি-নৈতিকতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে এবং এ জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন, দেশপ্রেম, মানবতাবোধ, প্রকৃতি-চেতনা, নৈতিকতাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, বিজ্ঞানচেতনা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে ভাবতে সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীদের সুস্থ চিন্তার চর্চা করানোই এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ফলে প্রতিটি রচনাকে এক-একটি উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করাই হবে আমাদের কাম্য। এ ছাড়া গ্রন্থগুলোর বিরচন অংশে যেসব বান্ধারা ও প্রবাদ-প্রবচন, বাক্য-সংকোচন, প্রতিশব্দ, পরিভাষা, বিপরীতার্থক শব্দ, চিঠিপত্র, অনুবাদ, ভাব-সম্প্রসারণ, সারাংশ ইত্যাদি সংযোজন করা হয়েছে সেগুলোকেও মডেল হিসেবে গ্রহণ করাই হবে যৌক্তিক। এইসব উদাহরণ বা মডেল-এর ওপর ভিত্তি করে যেন শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন বিষয় নিয়ে নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার আলোকে প্রবন্ধ রচনা ও কম্পোজিশন তৈরি করতে পারে, সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়েছে।
১৬. মাধ্যমিক সামাজিক বিজ্ঞান (Social Science) এসএসসি (ক্লাস নাইন
টেন-নবম দশম) পুরাতন সিলেবাসঃ
সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়টিতে সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, পৌরনীতি ও অর্থনীতির মৌল বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে। এ ছাড়া জনসংখ্যা শিক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা এবং এইডস শিক্ষা-এই বিষয় তিনিটি
সংযোজিত হয়েছে। এটির পঠনপাঠনের মাধ্যমে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা সামাজিক অগ্রগতির ধারা, নিজ দেশের
ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং ভৌগোলিক, রাষ্ট্রিয় ও আর্থসামাজিক বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভে সক্ষম হবে। আশা করা যায়, নিবিড়ভাবে শিক্ষাক্রম অনুসরণে রচিত এই পাঠ্যপুস্তকটি চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবে, সুনাগরিকের গুণাবলি অর্জন করবে এবং তাদের মধ্যে সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটবে।
১৭. মাধ্যমিক English for Today, এসএসসি (ক্লাস নাইন টেন-নবম দশম) পুরাতন সিলেবাসঃ
The book follows a communicative approach to teaching and learning English in Bangladesh. It provides learners with a variety of materials, including reading texts, dialogues, pictures, diagrams, tasks, and activities. These materials have been designed and developed for practice in four basic language skills: listening, speaking, reading and writing. As a result, classes are expected to be interactive, with students actively participating in classroom activities through pair work, group work, and individual work.
শিক্ষাক্রমে নবম-দশম শ্রেণীর জন্য ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শ্রেণীভিত্তিক শিখনফল চিহ্নিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন সেগুলো পুরোপুরি অর্জন করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রেখে শিখনফলভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। এ শ্রেণীতে আকাইদ, শরীআতের উৎস, ইবাদাত, আখলাখ ও জীবনাদর্শ- এ পাঁচটি অধ্যায় স্বল্পপরিসরে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইসলামের নিয়ম-কানুন জানা ও মানা এবং মূল্যবোধ সৃষ্টির উদ্দেশে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলার জন্য সহজ বাক্যরীতি, উপমা, শিক্ষামূলক কাহিনী, আদর্শ পুরষের জীবনকথা ইত্যাদি অবতারণা করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকটি ইসলাম সম্পর্কে মৌলিক ধারণা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, কিছু আরবি শব্দের বানানের ক্ষেত্রে এনসিটিবির বানানরীতি অনুসরণ না-করে প্রচলিত বানান অনুসরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নকর্ম মুলত কৃষিভিত্তিক এবং কৃষিশিক্ষা গ্রহণ ও দক্ষতা অর্জন হচ্ছে কৃষি-উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। তাই মাধ্যমিক স্তরে কৃষি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হলে কৃষির প্রয়োগযোগ্য প্রযুক্তিসমূহের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক- এই উভয় দিকেই শিক্ষার্থীর দক্ষতা অর্জন আবশ্যক। সেদিক বিবেচনা করে এই পুস্তকে কৃষিশিক্ষা, উদ্যান ও ফসল, বনায়ন, মাছ চাষ ও গৃহপালিত পশুপাখি পালনের প্রায়োগিক প্রযুক্তিসমূহ সহজভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান, শ্রম ও সামাজিক মূল্যবোধ বিকাশের জন্য ব্যবহারিক কাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণীর কৃষিশিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচির উদ্দেশ্যগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করা হয়েছে।
সার্বিক প্রস্তুতির সুবিধার জন্য আরোও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বই হলো অষ্টম (৮ম)
শ্রেণির গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বই। নিম্নে বই দুটির ডাউনলোড লিংক প্রদান করা
হলোঃ
২০. সাধারণ বিজ্ঞান অষ্টম (৮ম) শ্রেণি, পুরাতন সিলেবাসঃ
সাধারণ বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার বিকাশ সাধন এবং পরিবেশের উপাদানগুলোর সহাবস্থানের উপযোগী রাখার বিষয়ে সচেষ্ট থাকা। বিজ্ঞান শিক্ষা শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ও যুক্তিসঙ্গত চিন্তা করতে ও নিজ হাতে কাজ করার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা দান করে। সাধারণ বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকটি শিক্ষাক্রমের সাধারণ উদ্দেশ্য ও শিখনফলের আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। পুস্তকটিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, ভূগোল ও জনসংখ্যা শিক্ষার বিষয়বস্তু সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আশা করা যায় শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের এ সকল শাখার বিষয়বস্তুর তত্ত্বীয় জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারিক দক্ষতাগুলোও অর্জন করতে সক্ষম হবে।
গণিত শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার অভিপ্রায়ে এবং আধুনিক শিক্ষার্থীর শিখনচাহিদা অনুযায়ী গণিত শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক তুল্যমানে উন্নীত করে আত্মকর্মসংস্থানের সহায়ক করার লক্ষ্যে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের গণিত শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন ও নবায়ন করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুতে এর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। পাটিগণিতের সুপরিচিত বিষয়বস্তুসমূহকে সুসংহত করে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রযোজ্য ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে গণিতের ব্যবহার সহজ করার জন্য পাটিগণিতের পাঠ অষ্টম শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে বীজগণিতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বীজগণিতের আনুষ্ঠানিক পাঠ ষষ্ঠ শ্রেণীতে আরম্ভ করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক অনেক সমস্যাই বীজগাণিতিক পদ্ধতিতে সহজে সমাধান করার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
4 Comments
thanks for good collection
ReplyDeleteGood jobs,,,,,,,It's very useful for future generation,,,,,,, keep up the good work.
ReplyDeleteMany many thanks brother
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ। চমৎকার পুরাতন বই কালেকশন। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার বইগুলো যুক্ত করলে ভালো হয়।
ReplyDelete